২০১৬-১৭ সালে শেরপুর জেলার উপজেলাওয়ারী সক্রিয় বীজ ডিলার সংখ্যা
ক্রমিক নং | উপজেলার নাম | সক্রিয় বীজ ডিলারের সংখ্যা | মন্তব্য |
১ | শেরপুর সদর | ৫৯ জন |
|
২ | শ্রীবর্দী | ২২ জন |
|
৩ | ঝিনাইগাতি | ২৩ জন |
|
৪ | নালিতাবাড়ী | ২৭ জন |
|
৫ | নকলা | ২৫ জন |
|
|
|
|
|
শেরপুর জেলায় মোট = | ১৫৬ জন |
|
(বীজ ডিলারের অবশ্য পালনীয় শর্তাদিঃ
(১) বীজ ডিলারগণকে বরাদ্দকৃত নিয়ন্ত্রিত ফসল বীজ (ধান,গম, আলু, পাট, ও আখ) ছাড়াও ডাল ও তৈল, জাতীয় বীজ,সব্জি, ভুট্টা ইত্যাদি বীজসহ প্রতি বছর কমপক্ষে ১,০০,০০০/- (টাকা এক লক্ষ মাত্র) টাকার বীজ উত্তোলন করতে হবে । উল্লেখ্য যে, সবজী, পাট, ডাল, ও তৈল জাতীয় বীজসহ বছরে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) টি ফসল বীজ উত্তোলন না করলে লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিবেচিত হবে না। তবে অঞ্চলে বীজের বরাদ্দ, প্রাপ্যতা ও বাস্থবতার আলোকে বিষয়টি কার্যকর হবে।
(২) বীজ ডিলারগণ সংস্থা কর্তৃক দেয় নির্ধারিত কমিশন পাবেন। কমিশনের হার আঞ্চলিক বীজ গুদাম থেকে বীজ ডিলাররের দোকানের দুরত্ব ও বীজ উত্তোলনের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়। কোন বীজ ডিলার সংস্থার নির্ধারিত বীজের মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্যে বীজ বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
(৩) বিক্রয় কেন্দ্রে ডিলার তার নিয়োগ পত্র / লাইসেন্স প্রদর্শণ করে রাখবেন।
(৪) ডিলার ব্যাংক ড্রাফট / পে -অর্ডারের মাধ্যমে বীজের মূল্য পরিশোধ করে বিএডিসি’র আঞ্চলিক গুদাম/ হিমাগার হতে বীজ সরবরাহ নিবেন। তবে ব্যাংকে অঞ্চলিক বীজ গুদামের ‘‘বীজ প্রাপ্তি হিসাব’’ খোলা রয়েছে সেই ব্যাংকের ব্যাংক ড্রাফট / পে অর্ডারের মাধ্যমে বীজের মুল্য পরিশোধ করতে হবে। তাছাড়া সরকার কর্তৃক অনুমোদিত স্থানীয় যেকোন সরকারী/ বেসরকারী ব্যাংকের ব্যাংক ড্রাফট / পে -অর্ডার করা যাবে তবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালক (বীজ বিপণন) এর অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
(৫) ডিলারের নামে বরাদ্দকৃত বীজ ডিলার স্বয়ং উপস্থিত হয়ে বীজ গ্রহণ করবেন। বিশেষ কারণে যদি কোন ডিলার বীজ উত্তোলন কাজে নিজে উপস্থিত হতে না পারেন তবে তার লিখিত মনোনীত ব্যক্তির মাধ্যমে বীজ উত্তোলন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালক (বীবি), কর্তৃক উক্ত মনোনয়ন পত্র প্রত্যায়িত হতে হবে- যা সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক গুদামে সংরক্ষিত থাকবে।
(৬) বীজ ডিলারগণ উত্তোলিত বীজ তার নিজস্ব গুদামে মজুদ করে বীজের হিসাব রেজিষ্টারে সংরক্ষণ
করবেন এবং বিএডিসি’র নির্ধারিত দরে ক্যাশমেমোর মাধ্যমে বীজ বিক্রি করবেন।
(৭) ডিলারের দোকানে সাইন বোর্ড থাকতে হবে এবং বীজ বিক্রির মৌসুমে তাদের দোকানে লাল সালু ব্যানার টাঙ্গিয়ে বীজ বিক্রয় করবেন। ব্যানারে বীজের প্রাপ্যতা বীজের একক বিক্রয় মূল্য ইত্যাদি প্রদর্শিত হতে হবে।
(৮) বীজ ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রে বীজ সংরক্ষণ উপযোগী একটি ভালো গুদাম থাকতে হবে। ডিলার তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিএডিসি’র গুদাম/ হিমাগার হতে বীজ তার বিক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।
(৯) ডিলার কর্তৃক বীজ ডেলিভারী নেয়ার সময় বস্তা ও বীজের গুনগত মান পরীক্ষা করে ভালো বীজ নিশ্চিত হয়ে বীজ উত্তোলন করবেন। উত্তোলিত বীজের ব্যাপারে পরবর্তীতে কোন আপত্তি করা যাবে না।
(১০) কোন অবস্থাতেই বিক্রিত বীজ ফেরৎ নেয়া যাবে না।
(১১) ডিলার উত্তেলিত বীজ যথাযথভাবে মজুদ ও পরিচর্যা করবেন যাতে বীজের গুনগত মান অক্ষুন্ন থাকে। পূর্ববর্তী মৌসুমের অবিক্রিত নিম্নমানের বীজ বিক্রয় করা যাবে না এবং মৌসুমের পরেও কোন বীজ বিক্রয়যোগ্য হবে না।
(১২) বিএডিসি কর্তৃক সরবরাকৃত অরিজিনাল প্যাকেটে/বস্তায় বীজ বিক্রয় করবেন এবং কোন অবস্থাতেই বীজের প্যাকিং, মার্কিং নষ্ট বা পরিবর্তন অথবা পূর্বে ব্যবহৃত প্যাকেট/বস্তায় বীজ বিক্রয় করতে পারবেন না।
(১৩) বিএডিসি’র গুদাম/ হিমাগার হতে বীজ উত্তোলন করে আনার পর বীজ ডিলার নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বীজের Arrival report প্রদান করে মৌসুমের মধ্যেই সমুদ বীজ বিক্রির ব্যবস্থা নিবেন।
(১৪) বিএডিসি এবং বীজ অনুমোদন সংস্থার কর্মকর্তাগণ যেকোন সময় ডিলারের গুদাম এবং বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ডিলার তাদেরকে ডিলার নিয়োগপত্র, লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
(১৫) বিএডিসি হতে সরবরাহকৃত বীজের গুনগতমান সম্পর্কে চাষীদেরকে জানানোর জন্য ডিলার প্রয়োজনীয় প্রচারনার ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন। বিএডিসি কর্তৃক সরবরাহকৃত বীজ সংক্রান্ত পোষ্টার,পুস্তিকা বিতরণ এবং প্রর্দশনী প্লট স্থাপন ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন ।
(১৬) সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বরাদ্দের ভিত্তিতে ডিলারদের নামে বীজের বরাদ্দ প্রদান করা হবে। কোন ডিলার নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বরাদ্দকৃত বীজ উত্তোলনে ব্যর্থ হলে তার বরাদ্দ বাতিল করে অন্য আগ্রহী ডিলারদের মধ্যে ‘‘ আগে আসলে আগে পাবেন ’’ ভিত্তিতে বীজ বিক্রি করা হবে।
(১৭) বিএডিসি কর্তৃক বিভিন্ন সভা/ সেমিনার/ প্রশিক্ষণ ইত্যাদি র্কসূচীতে আমন্ত্রণ করা হলে সেক্ষেত্রে ডিলারগণ উপস্থিত থাকতে বাধ্য থাকবেন।
(১৮) বীজ ডিলারের দোকানে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বীজ মজুদ/বিক্রয় করা যাবে না।
(১৯) ডিলারের কর্মকান্ডে বিএডিসি’র বীজ বাজারজাতকরণ কাজে বিঘ্ন ঘটলে, উহার বিপণন ও সংরক্ষণে কোনরূপ সমস্যা হলে এবং বিএডিসি’র সুনাম ক্ষন্ন হলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
(২০) ডিলার বীজের কালো বাজারী ও ভেজাল মিশ্রন সংক্রান্ত কোন রকম কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। কোন ডিলার এতদসংক্রান্ত কাজে জড়িত থাকলে তার লাইসেন্স বাতিল সহ প্রচলিত আইন ও বীজ নীতি (সীড এ্যাক্ট) অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(২১) বিএডিসি, কর্তৃক বীজের বিক্রয় মূল্য হ্রাস করা হলে মূল্য হ্রাসের পরবর্তী তারিখে যে সব বীজ ডিলার বীজ
ক্রয় করবেন তাদেরকে কোন প্রকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি জনিত অর্থ ফেরত প্রদানে বিএডিসি বাধ্য থাকবেনা।
(২২)বীজ ডিলার কর্তৃক উত্তোলিত বীজ তার নিজ এলাকায় বিশেষ কারণে চাহিদা না থাকলে সেক্ষেত্রে বিএডিসি’র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করে স্বীয় এলাকার বাহিরে বীজ বিক্রি করতে পারবে।
(২৩) বিএডিসি’র বীজ ডিলারকে স্বীয় উদ্যোগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ ডিলার হিসেবে নিবন্ধণ গ্রহণ করতে হবে। নিবন্ধণ না থাকার কারণে ডিলাররের বীজ বিক্রয় কাজে বিঘ্ন হলে সেক্ষেত্রে বিএডিসি দায়ী থাকবে না।
(২৪) উল্লেখিত শর্তাবলীর আলোকে ডিলারদেরকে নির্ধারিত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিএডিসি কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হবে। উল্লেখ্য যে, চুক্তি পত্রের স্ট্যাম্প খরচ ডিলার বহন করবেন।
(২৫) উল্লেখিত নিয়মাবলী ও শর্তাদি ছাড়াও সময় সময় বিএডিসি’র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশ
ডিলারগণ অবশ্যই বাধ্য থাকবেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস